প্রতিনিধি ১১ অক্টোবর ২০২২ , ৫:৩৫:২২ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেটে ব্যবাসয়ীকে অপহরণের পর মারধর করে ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ ৪ যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। পরে আদালত আজ বুধবার শুনানির দিন ধার্য করে আসামিদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল হাসান তালুকদার।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার খরজখালী গ্রামের মৃত আব্দুস ছামাদের ছেলে মো. তমিজ আলী (৪০), সিলেটের এয়ারপোর্ট থানার বাদামবাগিচা এলাকার মৃত এংরেজ মিয়ার ছেলে মো. সাজ্জাদ মিয়া (৪৫), একই থানার আম্বরখানা বড়বাজার এলাকার মল্লিকা ৬৪/২-এর মৃত শেখ মজিদ মিয়ার ছেলে মো. নয়ন মিয়া (৩৫) ও কোতোয়ালি থানাধীন মিরাবাজার এলাকার বসুন্দরা-৪ এর মৃত রমেন্দ্র নারায়ন দেবের ছেলে তপু রঞ্জন দেব (৩৫)।
সোমবার দুপুরে দক্ষিণ সুরমার হুমায়ুন রশীদ চত্বর থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানায়, গত ৭ অক্টোবর ভোর ৫টার দিকে সৈয়দ এমরান হোসেন (৪৫) নামের একজন কাপড় ব্যবসায়ী ব্যবসার মালামাল আনার জন্য জন্য ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে দক্ষিণ সুরমার কদমতলী পয়েন্টে আসলে সে জায়গার আল-সাফা রেস্ট হাউজের সামনে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এসময় উল্লিখিত ৪ আসামি ২টি মোটরসাইকেলযোগে ঘটনাস্থলে এসে এমরানের গলায় চুরি ধরে অপহরণ করে নিয়ে যান। পরে তাকে নগরীর জিন্দাবাজারস্থ সবুজ বিপনী রেস্ট হাউজের ৪র্থ তলার একটি রুমে নিয়ে আটক করে তাকে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এমরানের নিকট ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি ও তাকে মারধর করেন অভিযুক্তরা। এসময় এমরানের সঙ্গে থাকা ৮৫ টাকা ছিনিয়ে নেন তারা। এছাড়াও আরও চাঁদা আদায়ের জন্য এমরানের গলায় চাকু ধরে স্ত্রী তাহমিনা বেগমের ইমুতে ভিডিও কল দেয় সেটি দেখান আসামিরা। পরে স্বামীর জীবন বাঁচাতে অপহরণকারীদের কথামতো বিকাশের মাধ্যমে ১ লক্ষ টাকা প্রেরণ করেন তাহমিনা। পরদিন (৮ অক্টোবর) রাত ২টার দিকে অপহরণকারীরা তাকে ছেড়ে দেন। এ ঘটনায় পরবর্তীতে দক্ষিণ সুরমা থানায় এমরান মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর ১০ অক্টোবর অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করে পুলিশ। এসময় অপহরণকারীদের ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।