বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আগুন নিয়ে খেলবেন না, আমরা প্রতিরোধ করব। আওয়ামী লীগ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আগুনের খেলা প্রতিরোধ করবে। নির্বাচনের মাঠে খেলা হবে। আসুন, খেলতে নামুন, নির্বাচন আর রাজনীতির মাঠে খেলায় আসুন।’শনিবার ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় কাদের এসব কথা বলেন।বিশ্ব পরিস্থিতির কথা মনে করিয়ে দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘খুব খারাপ সময়, খুব ঝুঁকিপূর্ণ সময়। এ সময়ে ঐক্যের বিকল্প নেই। সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউ কিছু করতে পারবে না। আওয়ামী লীগের কর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা বড় চ্যালেঞ্জ নিয়ে কঠিন সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়েছেন। সারা বিশ্বে যুদ্ধের প্রতিক্রিয়া, সেই প্রতিক্রিয়ায় জ্বালানির দাম ক্রমাগত বাড়ছে। মূল্যস্ফীতি চরমে। শ্রীলঙ্কার কথা বাদ দিলাম। ইংল্যান্ড ও আমেরিকায়ও মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। বাংলাদেশকে এ কঠিন জমিনে অগ্রসর হতে হচ্ছে।’আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আজকের এদিন শুধু শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস নয়, এই দিন বাংলাদেশের গণতন্ত্রের বন্দি দিবস। এ দিন শেখ হাসিনাকে বন্দি করে আমাদের বিকাশমান গণতন্ত্রকে বন্দি করা হয়েছে। রাজনীতি করতে এসে অনেকেই জেলে গেছেন। আমাদের নেত্রীও বন্দি হয়েছেন। তার আগে ক্ষমতায় ছিল বিএনপি। কিন্তু প্রথম বন্দি হন শেখ হাসিনা। তারা এসে বিরোধী দলের নেতাকে প্রথম বন্দি করে। সরকারি দলের নেতা তখনো বন্দি হননি। ড. ওয়াজেদের সঙ্গে কী দুর্ব্যবহার, ঢাকার কোর্টের সামনেও একই দৃশ্য। বঙ্গবন্ধুকন্যাকে একটুও শ্রদ্ধা তারা দেখাননি।’কাদের বলেন, ‘এক-এগারোর জরুরি সরকারকে এগিয়ে নেওয়া কঠিন ছিল। অনেক রাজনীতিক সেদিন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সঙ্গে যোগসাজশ করে মাইনাস টু ফর্মুলায় নিয়ে গিয়েছিল। তারা জরুরি অবস্থার সরকারকে সহযোগিতা না করলে বাংলাদেশে ওয়ান-ইলাভেন টিকতে পারত না।’‘সরকারের পতনের সাইরেন বেজে গেছে’- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সাইরেনটা কোথায় শুনলেন। রাস্তায় যখন গাড়ি চলে ওই সাইরেন শুনেছেন। কী সাইরেন শুনেছেন? শুনতে পাবেন আপনাদের বিদায়ের ঘণ্টা বেজে গেছে। নেতিবাচক রাজনীতি আপনাদের অপ্রাসঙ্গিক করেছে। আপনাদেরই বিদায় ঘণ্টা বেজে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের নয়।’ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান।
