নিজস্ব প্রতিনিধি:: দুর্গাপূজা উপলক্ষে সিলেটসহ সারাদেশে সহিংস হামলার খবর পাওয়া গেছে। কুমিল্লার নানুয়ার দীঘির তীরে একটি পূজা মণ্ডপ, বাংলাদেশের সিলেট শহরের পাঠানটুলার বাসিন্দা
হিন্দু যুব মহাজোট সিলেট বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক পল্লব পালের বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করা হয়। বৃহস্পতিবার ( ১৪ অক্টোবর) খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
পল্লব পালের স্ত্রী বাদী হয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন ১৫/১০/২১ তারিখে জালালাবাদ থানায়।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আবেদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,
পল্লব পাল বাংলাদেশ সংখ্যালঘু জনতা পার্টি সিলেট জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও হিন্দু যুব মহাজোট সিলেট বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক তিনি দীর্ঘদিন ধরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নির্যাতিথ
মানুষের জন্য কাজ করা। সাত দফা দাবি আদায়ের আন্দোলনে,,
বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি ও কেন্দ্রীয় কর্মসূচি ঘোষণা বাস্তবায়নে মানববন্ধনে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন,,
এরপর থেকে,,
বিভিন্ন সময় প্রাণনাশের হুমকি দেয় উগ্রবাদীরা ।
২০ সেপ্টেম্বর (রবিবার) জিহাদ নামে এক ব্যক্তি তাকে হত্যার হুমকি দেন,,
তার গ্রামের বাড়িতে চিঠি পাঠান। এর আগে স্থানীয় মৌলবাদীরা বারবার ইসলাম ধর্ম গ্রহণের হুমকি দিলেও পরে
ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ করার হুমকি দেয়। পুলিশকে জানানোর পরও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি,,
এদিকে দুর্গাপূজার সময় কুমিল্লার নানুয়া দীঘির পাড়ে,,
একটি মন্ডপে কোরআন পাওয়ার খবর পাওয়া গেছে,,
। এ ঘটনার জের ধরে ৩ জনের একটি মুখোশধারী সন্ত্রাসী
বৃহস্পতিবার রাতে পল্লব পালের বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করে। তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঘরের সব আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এ সময় তারা পল্লব পাল কে খুঁজতে থাকে,,। এক পর্যায়ে তারা হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যান।
পল্লব পালের ছোটবেলার বন্ধু
তিনি বলেন, ‘তিনি (পল্লব পাল) বিভিন্ন সময়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নিপীড়নের প্রতিবাদ করতেন।
উগ্র মৌলবাদী ও বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা তাকে বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে আসছে,,
এবার আমরাও আতঙ্কিত।
বৃহস্পতিবার হঠাৎ মুখোশ পরে
বাড়িতে তিনজন এসে তাকে (পল্লব) খুঁজতে থাকে। তাদের কাছে দেশীয় অস্ত্র ছিল,,
তাকে না পেয়ে ঘরের সব আসবাবপত্র ভাংচুর করে এবং বন্দুর স্ত্রী ও সন্তানকে নির্যাতন করে।
এ ঘটনায় আমরা নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি করেছি। “এর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)
সিলেট মেট্রোপলিটন থানা পুলিশ জানায়,দুর্গাপূজা উপলক্ষে উৎসবমুখর পরিবেশে কুমিল্লার নানুয়ার দীঘির তীরে পূজা মণ্ডপ। ঘটনাক্রমে একটি পবিত্র কোরআন শরিফ পাওয়া যাওয়ার পর সহিংসতা শুরু হয়।
সিলেট সহ মণ্ডপের পাশাপাশি শহরের আরও কয়েকটি পূজা মণ্ডপেও হামলা চালানো হয়।
সূত্র জানায়
বেলা বাড়ার সাথে সাথে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে চাঁদপুর, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, সিলেট শহরের আখালিয়া,
পাঠানটুলা, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ, কুলাউড়া, হবিগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। এর মানুষ
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দিন কাটছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply