শান্তিগঞ্জ সংবাদদাতা: শান্তিগঞ্জ উপজেলার ৮ ইউনিয়নের বিভিন্ন পয়েন্ট, বাজার, রাস্তার মোড়, কবরস্থান, স্কুলঘরের প্রাঙ্গন, শহিদ মিনার ও মন্দির প্রাঙ্গনসহ ৪শ টি স্থান সন্ধ্যা হলেই এখন হয়ে উঠে আলোকোজ্জ্বল। সোলার সৌর সড়ক বাতির (ল্যাম্পপোস্ট) আলোয় আলোকিত হয়ে উঠে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের পাড়া-মহল্লা। পরিকল্পনামন্ত্রীর নিজ উপজেলায় প্রথম বাস্তবায়িত হলো এই প্রকল্প। এতে যেমন চলাচলে সুবিধা পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ তেমনি খুশিও তারা। বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রাথমিকভাবে গ্রহণ করা বিশেষ প্রকল্পের আওতায় এ সৌর সোলার সড়ক বাতিগুলো লাগানো হয়েছে। প্রকল্পের যাচাই-বাছাইকরণে সারা দেশে ১৭টি উপজেলায় পরীক্ষামূলকভাবে এ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে সারা দেশে এ প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীনে পল্লী দারিদ্র বিমোচন ফাউন্ডেশন।
জানা যায়, শান্তিগঞ্জ উপজেলার ৮ ইউনিয়নের প্রতিটিতে ৫০টি করে সোলার সৌর বাতি বসানো হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন বাজার, রাস্তার মোড়, কবরস্থান, মসজিদ, মন্দিরসহ বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ জায়গায় এসব লাইটগুলো লাগানো হয়েছে। কিছু জায়গায় এখনো লাগানো হচ্ছে। প্রতিটি লাইট স্থাপন করা পর্যন্ত মূল্য ধরা হয়েছে ৪৯ হাজার ১৩০ টাকা। এ হিসেবে সবগুলো সৌর বাতি বসানো পর্যন্ত মোট খরচ ধরা হয়েছে ১ কোটি ৯৬ লক্ষ ৫২ হাজার টাকা। ৩ বছর পর্যন্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান থাকবে দেখভালের দায়িত্বে। তিন বছর পর বাতিগুলো উপজেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে চলে যাবে। ডিকে কর্পোরেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান উপজেলাব্যাপী বাতিগুলো স্থাপন করছে। বাতিগুলো সৌর বিদ্যুতের মাধ্যমে চালিত হবে। তাই আলো দিতে কোনো বিদ্যুতের দরকার পড়বে না। এতে যেমন সাশ্রয় হবে বিদ্যুত তেমনি কমে আসতে পারে রাত্রিকালীন অপরাধ প্রবণতা। চলাচলে সুবিধা পাবেন উপজেলার হাজারো সাধারণ মানুষ।
পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম রাইজুল বলেন, আমার ইউনিয়নের সবগুলো লাইটই লাগানো হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ জায়গাতেই এগুলো লাগানো হয়েছে। সাধারণ মানুষ উপকৃত হবেন। প্রতিটি পয়েন্টেই লাইট আছে। জয়কলস ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবদুল বাসিত সুজন বলেন, পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানকে অসংখ্য ধন্যবাদ। তাঁর কারণেই আমাদের উপজেলার মানুষ প্রথমেই এ প্রকল্পটির স্বাদ উপভোগ করছে। আমরা খুবই খুশি।
প্রকল্প পরিচাল (পিডি) গৌতম ভৌমিক বলেন, আমরা খুব আন্তরিকতার সাথে কাজ করছি। সারা দেশের ১৭টি উপজেলায় এ প্রকল্পের কাজ হচ্ছে। আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে কাজটাকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা। প্রতিটা লাইটের ৩ বছরের ওয়ারেন্টি আছে। এ সময়ের মধ্যে কোনো সমস্যা হলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এগুলো ঠিক করে দিবে। নির্দিষ্ট সময়ের পর লাইটগুলো উপজেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে চলে যাবে।
Leave a Reply