নোটিশ:
প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে, আগ্রহীগণ যোগাযোগ করুন! মোবা: ০১৫১১ ৬৬৮৪৩৯
শিরোনাম
৩৬ নং ওয়ার্ডের তজমুল ইসলাম  এর ঘুড়ি মার্কা প্রতীকের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন খেলাঘর জামালগঞ্জ আসরের পূজা লোকনৃত্যে সিলেট বিভাগের প্রতিনিধিত্ব করবে সিসিকের নির্মাণাধীন ভবনের ছাদের স্টিলের পাইপ পড়ে নিহত এক জগন্নাথপুর স্বরূপ চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে লন্ডনে সভা ওসমানীনগরে মাইক্রোবাসচালক হত্যা : ৩ জনের যাবজ্জীবন সিসিক নির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন ১ মেয়র ও ৭ কাউন্সিলর প্রার্থী সুনামগঞ্জে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর ফাঁসি ফিলিং স্টেশনে হামলার প্রতিবাদে নগরে ট‍্যাংক-লরি মিছিল, ধর্মঘটের হুমকি জিয়ার শাহাদাতবার্ষিকীতে সিলেট জেলা ও মহানগর যুবদলের দোয়া মাহফিল স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জামালের মুক্তির দাবী খন্দকার মুক্তাদিরের
সিলেটের অনাবাদি জমি নিয়ে ৫ বছরের পরিকল্পনা

সিলেটের অনাবাদি জমি নিয়ে ৫ বছরের পরিকল্পনা

নিজস্ব প্রতিবেদক : মাঠপর্যায়ে এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদী রাখা যাবে না’-এমন নির্দেশনা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তার নির্দেশনামতে, সিলেটে জেলায় কৃষি খাতে উন্নয়নের লক্ষ্যে পতিত জমি নিয়ে ৫ বছর মেয়াদী পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে জেলা কৃষি উন্নয়ন বিষয়ক কোর কমিটির সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় জানানো হয়, আগামী বোরো মৌসুমে জেলার প্রতিটি উপজেলায় ১০০০ হেক্টর করে মোট ১৩ হাজার হেক্টর অনাবাদি/পতিত জমি চাষের আওতায় নিয়ে আসা হবে। অর্থাৎ এক বছরে ১৩ হাজার হেক্টর জমি চাষের আওতায় আসবে। এ হিসেবে পাঁচ বছরে ১৩ হাজার হেক্টর করে মোট ৬৫ হাজার হেক্টর পতিত জমি চাষের আওতায় নিয়ে অঅসার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

এ লক্ষ্যে প্রতিটি উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের উপজেলা কৃষি উন্নয়ন বিষয়ক সমন্বয় কমিটি ও উপজেলা সেচ কমিটি সঙ্গে সভা করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে খননযোগ্য খালের তালিকা প্রেরণের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

কোর কমিটির সভায় সিলেট জেলার কৃষি উন্নয়ন ও পতিত জমি চাষের আওতায় আনার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সিলেট জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান।

আলোচনায় উঠে আসে- বোরো মৌসুমে সিলেটের পতিত জমির পরিমাণ, সমস্যা ও সম্ভাবনা। সভায় জানানো হয়, জেলায় প্রতিবছর প্রায় ৬৫ হাজার হেক্টর বোরো জমি অনাবাদি থাকে।

সভায় বিভিন্ন পরিকল্পনা নেয়া হয়। বলা হয়, সরকার পতিত জমি চাষের আওতায় নিয়ে আসতে জোরালো ভুমিকা নিয়ে এগুচ্ছে।
সভায় পতিত জমিতে আবাদের লক্ষ্যে কৃষকদের যথাসময়ে সার ও বীজ সরবরাহের জন্য বিএডিসি-কে নির্দেশনা প্রদান করা হয় এবং ফসল উৎপাদনে প্রয়োজনীয় সেচ নিশ্চিতকরণে বিএডিসি (সেচ), পানি উন্নয়ন বোর্ড ও এলজিইডি-কে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়।

সভায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, এলজিইডি, বিএডিসি (সেচ), সার-বীজ প্রকল্প ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা ভার্চুয়ালি সভায় সংযুক্ত ছিলেন।

উল্লেখ্য যে, সিলেট অঞ্চলের অনাবাদি জমির পরিমাণ অন্তত ৫ লাখ হেক্টর। এরমধ্যে আউশ মৌসুমে প্রায় ৫ লাখ হেক্টর, আমন মৌসুমে প্রায় ২ লাখ হেক্টর ও বোরো মৌসুমে প্রায় ১ লাখ ৯০ হাজার হেক্টর জমি অনাবাদি পড়ে থাকে। এসব অনাবাদি জমি আবাদের আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেই লক্ষ্যে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মোশাররফ হোসেন ভূইয়ার নেতৃত্বে মাঠ পর্যায়ে জোরদার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বৈশ্বিক মন্দা পরিস্থিতিতে ফসল উৎপাদন বাড়াতে সরকারের এই উদ্যোগ বলে জানা গেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published.




© All rights reserved © 2022 Todaysylhet24.com
Desing & Developed BY DHAKATECH.NET