নোটিশ:
প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে, আগ্রহীগণ যোগাযোগ করুন! মোবা: ০১৫১১ ৬৬৮৪৩৯
শিরোনাম
৩৬ নং ওয়ার্ডের তজমুল ইসলাম  এর ঘুড়ি মার্কা প্রতীকের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন খেলাঘর জামালগঞ্জ আসরের পূজা লোকনৃত্যে সিলেট বিভাগের প্রতিনিধিত্ব করবে সিসিকের নির্মাণাধীন ভবনের ছাদের স্টিলের পাইপ পড়ে নিহত এক জগন্নাথপুর স্বরূপ চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে লন্ডনে সভা ওসমানীনগরে মাইক্রোবাসচালক হত্যা : ৩ জনের যাবজ্জীবন সিসিক নির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন ১ মেয়র ও ৭ কাউন্সিলর প্রার্থী সুনামগঞ্জে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর ফাঁসি ফিলিং স্টেশনে হামলার প্রতিবাদে নগরে ট‍্যাংক-লরি মিছিল, ধর্মঘটের হুমকি জিয়ার শাহাদাতবার্ষিকীতে সিলেট জেলা ও মহানগর যুবদলের দোয়া মাহফিল স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জামালের মুক্তির দাবী খন্দকার মুক্তাদিরের
বৈরী আবহাওয়ায় ৫০ বছরে ২০ লাখ মৃত্যু

বৈরী আবহাওয়ায় ৫০ বছরে ২০ লাখ মৃত্যু

ডেস্ক রিপোর্ট : বৈরী আবহাওয়ার কারণে গত অর্ধশতাব্দীতে ২০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও)। সংস্থাটির সোমবার প্রকাশিত নতুন পরিসংখ্যানে আরও বলা হয়েছে, এ সময়ে চরম আবহাওয়ায় অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে ৪ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের।

ডব্লিউএমও বলছে, ১৯৭০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ১১ হাজার ৭৭৮টি আবহাওয়া-সম্পর্কিত বিপর্যয় ঘটেছে।

প্রতিবেদনে দেখা গেছে, এই দুর্যোগের কারণে বিশ্বব্যাপী ৯০ শতাংশেরও বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে।
ডব্লিউএমও প্রধান পেটেরি তালাস বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত আবহাওয়া, জলবায়ু এবং পানি-সম্পর্কিত বিপদের ধাক্কাগুলো টের পাবে সবচেয়ে দুর্বল সম্প্রদায়গুলো।

ঘূর্ণিঝড় মোখা গত সপ্তাহে মিয়ানমার ও বাংলাদেশে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। তালাস এই বাস্তবতার উদাহরণ টেনে বলেন, ‘তীব্র ঝড় ব্যাপক ধ্বংসলীলা চালিয়েছে। এতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দরিদ্ররা’।

প্রাথমিক সতর্কতা ব্যবস্থা এবং সমন্বিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা উল্লেখযোগ্যভাবে মানুষের প্রাণহানি কমিয়েছে বলেও জানান তালাস।
তিনি বলেন, ‘অতীতে মোখার মতো দুর্যোগের সময় মিয়ানমার এবং বাংলাদেশের ১০ হাজার থেকে কয়েক লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল’।

মিয়ানমারের সামরিক সরকার বলছে, সর্বশেষ ঘূর্ণিঝড়ে তাদের দেশে ১৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও সংখ্যাটি আরও বেশি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ডব্লিউএমও’র ২০২১ সালের একটি প্রতিবেদনে ১৯৭০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত দুর্যোগ সম্পর্কিত মৃত্যু এবং ক্ষয়ক্ষতির রেকর্ড রয়েছে। সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুরুর দিকে প্রতি বছর ৫০ হাজারের বেশি মৃত্যু দেখেছে বিশ্ব। তবে ২০১০ সালের দিকে সেই সংখ্যাটা নেমে ২০ হাজারে দাঁড়িয়েছে।

ডব্লিউএমও সোমবার জানায়, ২০২০ এবং ২০২১ সালে বিশ্বব্যাপী ২২ হাজার ৬০৮টি দুর্যোগের মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সতর্কতা এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য এই বিপর্যয়মূলক মৃত্যুর হার এখন ইতিহাস। প্রাথমিক সতর্কতা জীবন বাঁচায়।

২০২৭ সালের শেষ নাগাদ গোটা বিশ্বকে দুর্যোগের আগাম সতর্কতা ব্যবস্থার আওতায় আনতে জাতিসংঘ একটি পরিকল্পনা চালু করেছে। বিশ্বের মাত্র অর্ধেক দেশেই এখন এ ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে।

অর্থনৈতিক ক্ষতি :

মৃত্যু কমলেও আবহাওয়া-সম্পর্কিত দুর্যোগে অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ বেড়েছে বলে সতর্ক করেছে ডব্লিউএমও।
সংস্থাটির আগের রেকর্ড বলছে, অর্থনৈতিক ক্ষতি ১৯৭০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সাতগুণ বেড়েছে। ধনী দেশগুলো এখন পর্যন্ত আর্থিক দিক থেকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আবহাওয়া, জলবায়ু এবং পানি বিপর্যয়ের কারণে ৬০ শতাংশেরও বেশি ক্ষতির জন্য দায়ী উন্নত দেশগুলো। তবে চার-পঞ্চমাংশেরও বেশি ক্ষেত্রে প্রতিটি দুর্যোগের জন্য অর্থনৈতিক ক্ষতি মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) শূন্য দশমিক ১ শতাংশের কাছাকাছি ছিল। সূত্র: আল জাজিরা।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published.




© All rights reserved © 2022 Todaysylhet24.com
Desing & Developed BY DHAKATECH.NET