নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেটে বিএনপি নেতা আ ফ ম কামাল হত্যাকাণ্ডের ঘটনারয় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। নিহতের ভাই মইনুল হক বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে এসএমপি’র এয়ারপোর্ট থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করে সিলেট মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, মামলায় আসামি হিসেবে আজিজুর রহমান সম্রাটসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে বিএনপি নেতা কামাল হত্যা মামলায় এজহারভুক্ত আসামি কুটিকে (২৪) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে নগরের বড়বাজার গোয়াইপাড়া এলাকার মৃত নূর মিয়ার ছেলে।
মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আজবাহার আলী শেখ গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও কুটিকে কোথা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা বিস্তারিত জানায়নি পুলিশ। কুটি বিএনপি নেতা কামাল হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার এজাহারভুক্ত ৫ নম্বর আসামি।
এর আগে রোববার রাত ৯টার দিকে নগরের আম্বরখানা বড়বাজার এলাকায় ছুরিকাঘাতে খুন হন জেলা বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক নেতা আ ফ ম কামাল। ব্যবসায়িক বিরোধে কামাল খুন হতে পারেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে সন্দেহ করা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি নেতা আ ফ ম কামাল সিলেট এয়ারপোর্ট এলাকা থেকে আম্বরখানা বড়বাজার হয়ে গোয়াইটুলার দিকে যাচ্ছিলেন। তার গাড়িকে অনুসরণ করছিল দুটি মোটরসাইকেল। বড়বাজার ১১৮ নং বাসার সামনে কামালের গাড়ির গতিরোধ করে বাইক আরোহীরা। পরে তাকে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা কামালকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই কামাল মারা যান জানিয়ে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান শামছুল ইসলাম বলেন, কামালের দেহে ২৫টি ছুরিকাঘাত করা হয়। তার বাঁ হাতে ১৬টি, বাম বগলের নিচে ২টি, বুকের বামপাশে ১টি ও বাম পায়ে ৬টি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
মহানগর পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, আ ফ কামাল খুনের ঘটনায় সরাসরি অংশ নেয় পাঁচজন। এরমধ্যে আজিজুর রহমান সম্রাট, শাকিল ও রাজু নামের তিনজনকে শনাক্ত করার কথা জানিয়েছে এ সূত্র। এদের মধ্যে সম্রাট আগে ছাত্রদলের রাজনীতি করতেন তবে বর্তমানে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত বলে জানা গেছে।
Leave a Reply