ডেস্ক রিপোর্ট : ২০২১ সালে ফ্রান্সে বসবাসকারী এক দশমাংশ লোকই বিদেশে জন্মগ্রহণ করেছে। এক দশকের মধ্যে অভিবাসনের ওপর প্রথম গবেষণায় জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থা ‘আইএনএসইই’ বৃহস্পতিবার এই তথ্য প্রকাশ করেছে।২০২১ সালে ফ্রান্সের জনসংখ্যার ১০ দশমিক ৩ শতাংশ বা প্রায় ৭০ লাখ লোক ছিল অভিবাসী, যার অর্থ দাঁড়ায় ‘তারা জন্মসূত্রে বিদেশী’। এতে বলা হয়, তুলনামূলকভাবে, ১৯৬৮ সালে বিদেশ থেকে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ ফরাসি বাসিন্দা এসেছেন।
২০২১ সালে ফ্রান্সে অভিবাসীদের এক তৃতীয়াংশেরও বেশি ফ্রান্সের নাগরিকত্ব অর্জন করেছিল। গবেষণায় দেখা গেছে, অভিবাসী এবং তাদের বংশধররা মূলত সমাজে মিশে গেছে। অনেকের সন্তান ফ্রান্সে জন্ম নিয়েছে।যদিও অর্ধ শতাব্দী আগে অভিবাসীরা মূলত দক্ষিণ ইউরোপ থেকে এসেছিল, ২০২১ সালে অনেকেই উত্তর আফ্রিকা, সাব-সাহারান আফ্রিকা এবং এশিয়া থেকে এসেছে।
গবেষণায় বলা হয়েছে, ওই বছর ১২ শতাংশেরও বেশি অভিবাসী আলজেরিয়ার, আরও ১২ শতাংশ মরক্কোতে এবং ৪ শতাংশ তিউনিসিয়ায় জন্ম গ্রহণ করেছে।এতে বলা হয়েছে ৮ শতাংশের বেশি পর্তুগাল থেকে, চার শতাংশ ইতালি থেকে, তিন শতাংশের বেশি তুরস্ক থেকে এবং প্রায় তিন শতাংশ স্পেন থেকে এসেছে। সমস্ত অভিবাসীদের অর্ধেকের কিছু বেশি ছিল নারী।
অভিবাসীদের বেশির ভাগই রাজধানীসহ বড় শহরে ছুটে গিয়েছিল। যেখানে জনসংখ্যার এক পঞ্চমাংশ পর্যন্ত বিদেশ থেকে এসেছে।
পরিসংখ্যান সংস্থার সিলভি লি মিনেজ বলেছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অভিবাসন বৃদ্ধি সত্ত্বেও, ফ্রান্স ইউরোপী গড় হিসেবে জার্মানি এবং স্পেনের পিছনে রয়েছে।
Leave a Reply