ডেস্ক রিপোর্ট: বছরের প্রথম দিন থেকেই প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের নতুন শিক্ষাবর্ষ। এবারের নতুন বছর সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার হলে ‘পাঠ্যপুস্তক উৎসব’ হবে তবু সাম্প্রতিক বছরগুলোর ধারাবাহিকতা বজায় রেখেই। এজন্যে প্রস্তুত বিনা মূল্যে বিতরণের জন্য ৩৪ কোটি পাঠ্যবই।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০১১ সাল থেকে ১ জানুয়ারি ‘পাঠ্যপুস্তক উৎসব’ উদযাপন করে আসছে। সর্বশেষ গত বছরের ১ জানুয়ারি সারাদেশে শিক্ষার্থীদের মাঝে ৩৩ কোটি বিনা মূল্যের পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হয়।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রতন সিদ্দিকী বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ১০০ ভাগ বই বিদ্যালয় পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। তাই শুক্রবার শিশুদের পাঠ্যবই পাওয়া নিয়ে কোথাও কোনো অনিশ্চয়তা বা সংশয় নেই।
এনসিটিবির তথ্যানুযায়ী, ২০১৬ শিক্ষাবর্ষে সারাদেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের চার কোটি ৪৪ লাখ ১৬ হাজার ৭২৮ ছাত্রছাত্রীর জন্য মোট বই ছাপা হয়েছে ৩৩ কোটি ৩৭ লাখ ৬২ হাজার ৭৬০ কপি। এর মধ্যে প্রাথমিক স্তরের জন্য ১০ কোটি ৮৭ লাখ ১৯ হাজার ৯৯৭ কপি, আর মাধ্যমিক স্তরের জন্য ১৬ কোটি ৩০ লাখ চার হাজার ৩৭৩ কপি। এ ছাড়াও ইবতেদায়ি, দাখিল ও দাখিল ভোকেশনাল এবং এসএসসি ভোকেশনালের শতভাগ বই স্কুল পর্যায়ে সরবরাহ করা হয়েছে।
এনসিটিবি জানায়, ২০১৬ সালের সব পাঠ্যবই ছাপতে সরকারের ব্যয় হয়েছে ৭৭৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রাথমিকের বইয়ের জন্য ২৯২ কোটি, প্রাক-প্রাথমিকের ৩৮ কোটি এবং মাধ্যমিক স্তরের বইয়ের জন্য ৪৪৩ কোটি টাকা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে আজ বই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে রাজধানীর গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুল প্রাঙ্গণে। সকাল ৯টায় এ উৎসবের উদ্বোধন করবেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
এদিকে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সকাল ১০টায় রাজধানীর মিরপুর-২ এর ন্যাশনাল বাংলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক ও গণ-শিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যপুস্তক তুলে দিয়ে এ উৎসবের উদ্বোধন করবেন।
Leave a Reply