নিজস্ব প্রতিবেদক: জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে নগরীতে মা ও শিশু মেয়েকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। শনিবার সকালে নগরীর গোয়াইপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত হয়ে তারা এখনো সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই ঘটনায় এয়ারপোর্ট থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গোয়াইপাড়া এলাকার শেখ শফিকুল ইসলাম ও তার পুত্র আব্দুল্লাহ শফি সায়িদের সাথে জি.এম নজরুল ইসলামের জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিলো। গত ১৪ জুলাই আব্দুল্লাহ শফি সায়িদের নেতৃত্বে নজরুল ইসলামের বাসায় হামলা চালিয়ে তাকে গুরুতর আহত করা হয়। তিনি ২ দিন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর কিছুটা সুস্থ হয়ে শুক্রবার বাসায় ফিরেন। জীবনের নিরাপত্তার সার্থে তিনি হাসপাতাল থেকে ফেরার পরপর শুক্রবার এয়ারপোর্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা করায় প্রতিপক্ষ নজরুল ইসলামের উপর আরো বেশী ক্ষিপ্ত হয়। ফলে তাদের পরিবারের কেউ বাসা থেকে বের হতে পারেনি। শনিবার সকালে শেখ শফিকুল ইসলাম, তার পুত্র আব্দুল্লাহ শফি সায়িদ ওরফে ডুম শাহেদ, আব্দুল্লাহ শফি সামি পল্লব, আব্দুল্লাহ শফি শওকত রাসেদ মিলে জিএম নজরুল ইসলামের স্ত্রী হোসনা বেগমের উপর হামলা চালায়। তাদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হোসনা বেগমের চোখের উপর ও চোখের নিচে মারাত্মক ক্ষতের সৃষ্টি হয়। একই সাথে গাড়ীর চাবি হোসনা বেগমের পিটে ঘেতে দেয় আব্দুল্লাহ শফি সায়িদ। তার হোসনা বেগমের আর্তচিৎকারে তার শিশু কন্যা মাহজাবিন ইসলাম ইশা এগিয়ে আসলে তাকেও লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেয়া হয়। এতে মেয়েটির দুটি হাঁটু একেবারে থেতলে যায়। তারা এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে চোখের মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্তির জন্য অবস্থার অবনতি ঘটায় সোমবার সকালে হোসনা বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা চক্ষু হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে এই ঘটনায় এয়ারপোর্ট থানায় হোসনা বেগমের পক্ষে একটি লিখিত এজাহার দাখিল করা হলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে বাধ্য হয়ে তার পরিবারের লোকজন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নিশারুল আরিফের কাছে যান। পুলিশ কমিশনার সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিলে পুলিশ এজাহারটি আমলে নেয়। আব্দুল্লাহ শফি সায়িদ ও তার পরিবারের ভয়ে নজরুল ইসলামের পরিবার এখন নিজের বাসা ছেড়ে আত্মীয় স্বজনের বাসায় আশ্রয় নিয়েছেন। তারা জীবনের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
এয়ারপোর্ট থানার ওসি খান মোহাম্মদ মাইনুল জাকির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এজাহারটি মামলা হিসেবে রেকর্ড হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
Leave a Reply