নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেটে ইসলামি বক্তা গিয়াস উদ্দিন আত-তাহেরীর দায়ের করা মামলা আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার সিলেট বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মো. আবুল কাশেম এ নির্দেশ দেন।
এর আগে গত ২৪ মার্চ আদালতে মামলার আবেদন করেন তাহেরী। এতে ১৫ জনকে আসামি করা হয়। অগ্রিম টাকা নিয়ে সিলেটের বালাগঞ্জে একটি মাহফিলে না আসার অভিযোগ ছিল গিয়াস উদ্দিন আত-তাহেরীর বিরুদ্ধে। ওই বিষয়কে কেন্দ্র করে তাহেরীকে গালিগালাজ করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
আদালতে মামলা দায়েরের পর তাহেরী বলেন, ‘গত ২২ মার্চ আমার নামে মিথ্যা প্রচার করে আমার সঙ্গে যোগাযোগ না করে আমার মান ক্ষুণ্ণ করার জন্য স্টেজ সাজিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। তারা বলেছেন আমি নাকি দাওয়াত রেখে আসিনি। অথচ আমার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ না করে আমার মান-সম্মান ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে। আমি এসব প্রতারক ও দুষ্কৃতকারীদের বিচারের জন্য সিলেটে এসে আদালতে মামলা দায়ের করেছি। আদালত আমার আবেদনটি আমলে নিয়েছেন।’
চলতি মাসে বালাগঞ্জের পূর্ব পৈলনপুর ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন মাঠে আয়োজিত একটি মাহফিলে গিয়াস উদ্দিন আত-তাহেরী অগ্রিম টাকা নিয়ে মাহফিলে উপস্থিত হননি বলে অভিযোগ ওঠে।
আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, মাহফিলে আসা বাবদ তার সহকারীর কাছে দুই ধাপে অগ্রিম ৩৩ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল। আগের দিন মাহফিল পরিদর্শনও করে গিয়েছিলেন গিয়াস উদ্দিন আত-তাহেরীর এক সহকারী। কিন্তু মাহফিলের দিন সকাল থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
মামলার আসামিরা হলেন- সিলেটের বালাগঞ্জ পৈলনপুরের মইনুল ইসলাম, হাফিজ মুজিবুর রহমান, মসজিদের ইমাম ও খতিব ক্বারী জয়নাল আবেদীন, সিলেট অনলাইন টিভি নবীগঞ্জের রাজু আহমদ, ফেসবুকে লাইভ ও শেয়ারকারী নবীগঞ্জ সদরঘাটের শেখ শাহজাহান, হবিগঞ্জ লাখাই মুড়াকুড়ির আব্দুল কুদ্দুছ নুরী, নিজাম আহমেদ আকরাম, নিজাম উদ্দিন সিদ্দীকি একে মিডিয়া সিলেট, নবীগঞ্জের দেওপাড়া সাতাইল গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে হাফিজ কামরুল ইসলাম জালালি, বি-বাড়িয়া জেলার আখাউড়া তুলাই শিমুল গ্রামের শেখ রাসেল, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চারগাছ গ্রামের আবদুল ফরহার ছেলে মোরশেদ শাহ, হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ থানার গুমগুমিয়া গ্রামের খালেদ আহমদের ছেলে এস.এ শামিম ও টিটিভি।
Leave a Reply