স্টাফ রিপোর্টার::
জামালগঞ্জে “যক্ষা, ম্যালেরিয়া, এইচআইভি ও কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জাতীয় যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি ও ব্র্যাক এর আয়োজনে বৃহস্পতিবার(১৮মে) দুপুরে উপজেলা যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। ওরিয়েন্টেশনে বিষয় ভিত্তিক আলোচনা করেন কর্মসুচির জেলা কর্মকর্তা (ব্র্যাক) মো: সাইদুল ইসলাম।
জামালগঞ্জ উপজেলা কর্মসূচির মেডিকেল টেকনোলজিস্ট রকিবুল হাসানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, ব্রাকের জামালগঞ্জ উপজেলার একাউন্টস কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন, যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির জামালগঞ্জ প্রোগ্রাম অর্গানাইজার বর্ণা দাস, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা (অব.) মো: হাবিবুর রহমান, বিশিষ্ট সমাজকর্মী সমরেন্দ্র আচার্য্য শম্ভূ, জামালগঞ্জ নতুন পাড়া জামে মসজিদের ঈমাম মো: ফরিদ মিয়া, জামালগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি তৌহিদ চৌধুরী প্রদীপ ও সাধারণ সম্পাদক বাদল কৃষ্ণ দাস, পল্লী চিকিৎসক শাহ আলম প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন।
ওয়ারিয়েন্টেশন থেকে জানা যায়, বাংলাদেশে যক্ষা একটি মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা। এ রোগে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক লোক আক্রান্ত হয়। দ্রুত চিকিৎসা না করলে রোগীর মৃত্যু ঘটতে পারে। এইচআইভি ও এইডস আক্রান্তদের মধ্যে যক্ষা রোগ দ্রুত বিস্তার লাভ করে। যক্ষা রোগ নিয়ন্ত্রণে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ম্যালেরিয়া প্রবণ এলাকাগুলোতে যক্ষার পাশাপাশি ম্যালেরিয়া রোগের সংখ্যা অনেক। এছাড়া বর্তমানে পুরো বিশ্ব কোভিট-১৯ মহামারী সাথে যুদ্ধ করে চলেছে। জাতীয় যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির মাধ্যমে, যক্ষা, এইচআইভি, ম্যালেরিয়া ও কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সচেতনতা বৃদ্ধিমুলক বার্তা সবার কাছে পৌঁছে দিতে হবে। যেমন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা কোভিড-১৯ এর টিকা গ্রহনে সবাইকে উৎসাহিত করতে হবে।
যক্ষা রোগ ছড়ানোর কারণ গুলোর মধ্য রয়েছে একই ঘরে বা জায়গায় অনেক লোকের একসঙ্গে বসবাস, অপুষ্টি, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, অসচেতনতা। কারো দুই সপ্তাহর বেশি জ্বর বা কাশি হলে ফুসফুসে যক্ষার প্রধান লক্ষণ। রাতে জ্বর উঠা ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে দেয়া, বুকে পিঠে ব্যথা ও শ্বাস কস্ট হওয়া, খাবারে অরুচি ও ওজন কমে যাওয়া, কখনো কখনো কাশির সাথে রক্ত আসা, এরমধ্যে যেকোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই তার কফ নিকটস্থ যক্ষা কেন্দ্রে এসে পরীক্ষা করাতে হবে ও যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির কর্মীদের সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে। রোগীর রোগ নির্ণয় হলে এই কর্মসূচির আওতায় রোগী বিনামুল্যে ঔষধ সেবা পাবে। নিয়ম মত ঔষুধ সেবন ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে যক্ষা রোগ ভালো হবে।
Leave a Reply