জামালগঞ্জ প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার লক্ষীপুর তাওক্কোলিয়া দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সাম্প্রতিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অনিয়ম প্রসঙ্গে মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে গত ০২ এপ্রিল উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন, শিক্ষার্থীর অভিভাবক, সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সদস্যবৃন্দ এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, মাদ্রাসা সুপারের অসহযোগিতার কারণে যথা সময়ে মাদ্রাসার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা যায় নি। পরবর্তীতে মাদ্রাসা সুপার নিজের পছন্দের মানুষদের নিয়ে একটি কমিটি গঠনের লক্ষ্যে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীর অভিভাবক এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অবগত না করে গোপনীয় ভাবে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন কালীন একটি এডহক কমিটি গঠন করেন।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, নিজের একান্ত অনুগতদের সমন্বিত করে একটি ম্যানেজিং কমিটি গঠনের অভিপ্রায়ে দাতা সদস্য, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য, এবং পুরুষ সদস্যসহ তিন জন শিক্ষক প্রতিনিধি সদস্য নির্ধারন করার জন্য মাদ্রাসা সুপার ষড়যন্ত্র করে আসছেন। ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা পর মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা হলে সহকারী শিক্ষক মো.আল মামুন তার বাড়ি দিনাজপুর চলে যান। তাকেও শিক্ষক সদস্যের মনোনয়ন ফরম সংগ্রাহক করা হয়েছে। দাতা সদস্য হিসেবে শাহেরা খাতুন মাদ্রাসার নামে জমির যে দলিল খতিয়ান দিয়েছেন তাতে তার কোন জায়গা জমি নাই। অভিযোগে, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য, শিক্ষক সদস্য মো.আল মামুনের মনোনয়ন ফরম জমা প্রদান বাংলাদেশ মাদ্রাসার শিক্ষাবোর্ড ঢাকা, প্রজ্ঞাপন তারিখ ১৭/০৬/২০০৯ খ্রি: বাংলাদেশ গেজেটের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সম্পন্ন হয়নি বলে উল্লেখ করা হয়। এব্যাপারে মাদ্রাসা সুপার মিছবাহুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এটা উদ্দেশ্য প্রণোদিত অভিযোগ। নিয়ম তান্ত্রিক ভাবেই মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করা এবং আমার সম্মানহানি করার জন্য একটা পক্ষ উঠেপড়ে লেগেছে। এসব অভিযোগের কোন ভিত্তি নাই। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিশ্বজিত দেব জানান, অভিযোগের বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। এব্যাপারে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply