কানাইঘাট সংবাদদাতা: কানাইঘাটে গ্রামের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১ জন নিহত হয়েছে। আজ বুধবার বিকেলে উপজেলার ঝিঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের বাখাইরপাড় গ্রামে এই সংঘর্ষে ঘটনা ঘটে। এজমালী সম্পত্তির টাকার হিসেব নিয়ে একই গ্রামের আব্দুল লতিফ ও আব্দুল জলিলের পক্ষের লোকজনের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলেই আমির উদ্দিন (৪৫) নিহত হন। তিনি ঐ গ্রামের মৃত সজিব উল্লাহর পুত্র। এতে উভয় পক্ষের প্রায় অর্ধশত লোক আহত হন। সংঘর্ষ ও নিহতের ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কানাইঘাট থানা পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কানাইঘাট উপজেলার ঝিঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের বৃহত্তর ঢাকনাইল ৯ মৌজার হাওর এলাকার এজমালী সম্পত্তির টাকার হিসেব নিয়ে বাখাইরপাড় গ্রামের আব্দুল লতিফ ও আব্দুল জলিলের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। আজ বুধবার বিকেলে গ্রামের মাঠে উভয় পক্ষ আলোচনায় বসে। আলোচনার এক পর্যায়ে টাকার হিসেবে নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এরপর ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শেষে দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে আব্দুল জলিলের পক্ষের আমির উদ্দীন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এতে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হন। আহতদের বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে কানাইঘাট থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যে কোন ধরনের অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি ঠেকাতে গ্রাম জুড়ে বিপুল সংখ্যক সাধারণ ও দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে নিহত আমির উদ্দিনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল আহাদ বলেন, সম্পত্তির টাকার হিসেব নিয়ে বাখাইরপাড় গ্রামে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে। কিন্তু এর আগেই একজন নিহত হয়। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় এখনো কোন পক্ষ মামলা দায়ের করেনি। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। এলাকায় আর কোন সংঘর্ষ হতে দেয়া হবেনা। কেউ অরাজকতার চেষ্টা করলে পুলিশ কঠোর হস্তে তা দমন করবে প্রস্তুত রয়েছে। কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা।
Leave a Reply