নোটিশ:
প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে, আগ্রহীগণ যোগাযোগ করুন! মোবা: ০১৫১১ ৬৬৮৪৩৯
শিরোনাম
ওসমানীনগরে মাইক্রোবাসচালক হত্যা : ৩ জনের যাবজ্জীবন সিসিক নির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন ১ মেয়র ও ৭ কাউন্সিলর প্রার্থী সুনামগঞ্জে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর ফাঁসি ফিলিং স্টেশনে হামলার প্রতিবাদে নগরে ট‍্যাংক-লরি মিছিল, ধর্মঘটের হুমকি জিয়ার শাহাদাতবার্ষিকীতে সিলেট জেলা ও মহানগর যুবদলের দোয়া মাহফিল স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জামালের মুক্তির দাবী খন্দকার মুক্তাদিরের জামালগঞ্জে ভুমি বিরোধে নিহত-১, গ্রেফতার – ৪ সিলেটে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস পালিত সিসিক নির্বাচন : প্রার্থিতা ফিরে পেতে ৩ মেয়র ও ৯ কাউন্সিলর প্রার্থীর আপিল ফিলিং স্টেশনে হামলা, সিলেটে আন্দোলনে যাচ্ছেন জ্বালানি তেলের ব্যবসায়ীরা
একনজরে আবুল মাল আবদুল মুহিত

একনজরে আবুল মাল আবদুল মুহিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: আবুল মাল আবদুল মুহিতের জন্ম ১৯৩৪ সালের ২৫ জানুয়ারি। তিনি একজন খ্যাতনামা বাংলাদেশি অর্থনীতিবিদ, রাজনীতিবিদ, লেখক এবং ভাষাসৈনিক। পাকিস্তান সিভিল সার্ভিস সংস্থার কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব হিসেবে ছিলেন আবুল মাল আবদুল মুহিত।

১৯৬০ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্বে ছিলেন। অর্থনৈতিক পরামর্শক হিসেবে ১৯৬৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে তৎকালীন পাকিস্তান দূতাবাসে যোগদান করেছিলেন। চাকরি করা অবস্থায় পাকিস্তান কর্মপরিকল্পনা কমিশনের প্রধান ও উপ-সচিব ছিলেন। ওই সময় তিনি পূর্ব এবং পশ্চিম পাকিস্তানের বৈষম্য প্রতিবেদন আকারে তুলে ধরেন ও পাকিস্তান জাতীয় কংগ্রেসে পেশ করেন।

ওয়াশিংটনে তৎকালীন পাকিস্তানের দূতাবাসে প্রথম কূটনীতিবিদ হিসেবে ১৯৭১ সালে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের স্বপক্ষে নিজ অবস্থান তুলে ধরে চাকরি থেকে ইস্তফা প্রদান করেন মুহিত। তখন অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়াশিংটন দূতাবাসে ইকনমিক কাউন্সেলরের দায়িত্ব পালেন করেন তিনি।

স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে পরিকল্পনা কমিশনের সচিব নিযুক্ত হন। ১৯৭৭ সালে অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বহিঃসম্পদ বিভাগের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮১ সালে আবুল মাল আবদুল মুহিত সরকারি চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেন।

এরপর তিনি ফোর্ড ফাউন্ডেশনের অর্থনীতি এবং উন্নয়ন বিভাগের একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেন। আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন সংস্থা বা ইফাদেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ, আইডিবি এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের মনোনয়নে সিলেট-১ আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হিসেবে প্রার্থী হন। ওই নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আবুল মাল আবদুল মুহিত। পরে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।

স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থ ‘স্মৃতি অম্লান ১৯৭১’-সহ এ পর্যন্ত ২১টি বই লিখেছেন আবুল মাল আবদুল মুহিত। তৎকালীন পাকিস্তান সরকার ১৯৬৬ সালে মুহিতকে তমঘা ই খিদমত পদকে ভূষিত করে। ১৯৮৪ এবং ১৯৮৫ সালে প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির ভিজিটিং ফেলো ছিলেন তিনি। বাংলাদেশে পরিবেশ আন্দোলনেরও পুরোধা আবুল মুহিত। বাপা’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তিনি।

২০১৫ সালের ১৬ জুন তার নামে রাখা হয় সিলেট জেলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সের নাম। শুক্রবার রাত একটার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে মৃত্যুবরণ আবুল মাল আবদুল মুহিত। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর গুলশান আজাদ মসজিদে আবুল মাল আবদুল মুহিতের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

এরপর সকাল সাড়ে ১১টায় জাতীয় সংসদ প্লাজায় তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।  শনিবার দুপুর ১২টায় সাবেক এই অর্থমন্ত্রীর মরদেহ সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য জাতীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হবে।সেখান থেকে দাফনের জন্য সিলেটে আনা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published.




© All rights reserved © 2022 Todaysylhet24.com
Desing & Developed BY DHAKATECH.NET