নিজস্ব প্রতিবেদকঃ জাতীয় জনতা পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট নুরুল ইসলাম খানের সজ্জাপাশে জাতীয় জনতা পার্টির জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মুজিবুর রহমান চৌধুরী হীরু ও জাতীয়, স্হানীয় নেতৃবৃন্দ।
জাতীয় জনতা পার্টির জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট নুরুল ইসলাম খান দীর্ঘ দিন যাবত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ। তিনির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত ১০ মে তাঁকে চিকিৎসার জন্য সিলেট নগরীর আখালিয়া মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসা ও পরীক্ষা নীরিক্ষা শেষে অবস্থার কিছু উন্নতি হলে আজ ১৩মে শুক্রবার বিকেলো চিকিৎসার ছাড়পত্র নিয়ে হাউজিং স্টেড নিজ বাসায় নিয়ে আসা হয়েছে।
অসুস্থতার খবর পেয়ে ঢাকা থেকে সিলেট আসেন জাতীয় জনতা পার্টির জাতীয় কমিটির সাধারণ আলহাজ্ব মুজিবুর রহমান চৌধুরী হীরু ও জাতীয় নেতৃবৃন্দ। তারা রাত ৮ ঘটিকায় হাউজিং স্টেট পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট নুরুল ইসলাম খান এর বাসায় যান।আলহাজ্ব মুজিবুর রহমান চৌধুরী হীরু তাঁহার চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন। দলের বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলাপ আলোচনা করেন।
এসময় তাঁর সাথে ছিলেন তাঁহার পুত্র প্রিন্স, জাতীয় কমিটির সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক ও সিলেট জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নুরুল ইসলাম খানের সূযোগ্য পুত্র এডভোকেট তাহমিনুল ইসলাম খান। এছাড়া জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আকলিছ আহমদ চৌধুরী, মহানগর কমিটির ত্রাণ ও কৃষি বিষয়ক সম্পাদক সাংবাদিক ফারুক আহমদ চৌধুরী, তাহরিনুল ইসলাম খান প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ পার্টির চেয়ারম্যানের রোগ মুক্তি কামনা করেন এবং দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করেন।
উল্লেখ্য,এডভোকেট নুরুল ইসলাম খান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর এমএজি ওসমানীর ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন। এডভোকেট নুরুল ইসলাম খান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আমলে সিলেট ২ আসন থেকে বিপুলভোটে নির্বাচিত হয়ে খুব সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৭৬ ইং সনে মুক্তি যুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর এমএজি ওসমানী জাতীয় জনতা পার্টি গঠন করলে তাঁহারা জাতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপরিবারে নিহত হওয়ার পর প্রথম প্রতিবাদ করেন এমএজি ওসমানী।
কেন্দ্রীয় ও স্হানীয় নেতৃবৃন্দ জাতীয় জনতা পার্টির প্রতীক মই মার্কা ফিরিয়ে দিয়ে দলের পুনঃ নিবন্ধন ও এমএজি ওসমানীকে সঠিক মূল্যায়নের মাধ্যমে তাঁর জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকী রাষ্ট্রিয় মর্যাদায় পালন করার জন্য জাতির জনকের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহবান জানান।
Leave a Reply