ছাতক প্রতিনিধি : ছাতক-সিলেট রেল পথে ট্রেন চলাচল না করায় পুরো পথটি অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। করোনার দোহাই দিয়ে ২০২০ সালের ২৩ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে ৩৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য রেলপথে ট্রেন চলাচল। চলতি বছরের স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে বন্ধ এ রেলপথটি আরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বন্যার পানির প্রবল স্রোতে অনেক স্থানে রেলপথ সরে গেছে। রেল লাইনের নিচ থেকে রাস্তার পাশে স্তুপ হয়ে আছে কোটি টাকার পাথর। এতে ঝুলে আছে রেল লাইন। বন্যার পানি কমে গেলেও এখনো সংস্কারের কোন উদ্যোগ নিচ্ছেনা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও অরক্ষিত এ লাইনটির পাশে সরকারী জায়গায় দোকান কোঠা নির্মাণ করে ভাড়া, বালুর স্তুপ ও গাছ-গাছালি বিক্রয়ের অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, আফজলাবাদ রেলস্টেশন থেকে ছাতকবাজার পর্যন্ত রেল লাইনের অবস্থা নাজুক। গোবিন্দগঞ্জ রেল গেইটের পাশে রেলের সরকারী জায়গা দখল করে অনেকগুলো দোকান কোঠা নির্মিত হয়েছে। ৩টি দোকান কোঠা ভাড়া দিয়ে প্রতি মাসে সাড়ে ৯ হাজার টাকা পকেটস্থ করছেন জনৈক গেইটম্যান। গত ২ সেপ্টেম্বর রেল গেইট সংলগ্ন ৩৯৮/৩ থেকে ৪ এর সীমানায় রেলের সরকারী জায়গায় দুই লাখ টাকা মূল্যের ৫টি অর্জুন গাছ কর্তন করা হয়েছে। এছাড়া স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ছাতকবাজার পর্যন্ত অনেক স্থানে রেলপথ বাঁকা হয়ে ঝুলছে। রেলের স্লিপারের নিচের পাথরগুলো রাস্তার পাশে বিশাল স্তুপ হয়ে পড়ে আছে। ছাতকবাজার রেল কলোনিতে ২৩টির অধিক পরিবার অবৈধভাবে বসবাস করছে। রোপওয়ের লাইন ও জায়গা দখল করে দীর্ঘদিন ধরে রাখা হয়েছে বিশাল বালুর স্তুপ। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, কলোনিতে অবৈধ ভাবে বসবাসকারীদের উচ্ছেদের আওতায় আনার জন্য তালিকা তৈরি করছে কর্তৃপক্ষ।
রেল বিভাগের সিলেটের আইডব্লিউর সুপারভাইজার শহিদুল ইসলাম বলেন, কোন প্রকার অনুমতি ছাড়া সরকারী জায়গায় গাছ কাটার কোন বৈধতা নেই। গেইটম্যান কর্তৃক দোকান কোঠা তৈরি করে ভাড়া নিচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হবে।
Leave a Reply